বিতর্কিত প্রশ্ন- বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কোনটি?

সাধারণ জ্ঞানের বিতর্কিত প্রশ্ন

প্রশ্ন-৫: বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কোনটি?
ক) সাকা হাফং
খ) বিজয় 
গ) কেওক্রেডাং
ঘ) দুমলং

উত্তর-বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কোনটি তা নিয়ে যথেষ্ট বিভ্রান্তি রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে প্রচলিত অধিকাংশ স্কুলপাঠ্য ভূগোল বইয়ে আছে কেওক্রেডাং। কয়েকটি স্বনামধন্য জিকে বইয়েও রয়েছে কেওক্রেডাং হল বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ। কিন্তু ইন্টারনেটের পাতায় পাতায় দেখা যাচ্ছে অন্য তথ্য। অধিকাংশ ওয়েবসাইটে (আন্তর্জাতিক এবং বাংলাদেশী) বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ হিসেবে কেওক্রাডং-এর নাম নেই। প্রথমেই তুলে ধরছি বাংলা উইকিপিডিয়ার দেওয়া তথ্য-
১) মোদক তুয়াং বা সাকা হাফং (১০৫২মিঃ) 
২) মোদক মুয়াল (১০১৭ মিঃ),
৩) দুমলং (১০১০মিঃ),
৪) জোগি হাফং (৯৯১মিঃ),
৫) কেওক্রাডং (৯৮৬মিঃ),
এবং আরো কয়েকটি শৃঙ্গ যাদের উচ্চতা ৩০০০ ফুট বা তার বেশি।

একইরকম তথ্য রয়েছে মূল উইকিপিডিয়াতেও (ইংরেজি)। বেশিরভাগ জনপ্রিয় ওয়েবসাইটেই রয়েছে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হল মোদক তুয়াং বা সাকা হাফং (১০৫২মিঃ)। কেওক্রাডং শৃঙ্গের স্থান তিন, চার বা পাঁচ নম্বরে।
পোস্ট সিরিজ: চাকরির পরীক্ষায় বিতর্কিত জিকে।
তবে বিভ্রান্তির এখানেই শেষ নয়। বেশ কিছু বাংলাদেশী ব্লগ এবং ওয়েবসাইটে দেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হিসেবে আরেকটি পর্বতশৃঙ্গের নাম উঠে এসেছে। সেটি হল তানজিংডং বা বিজয়। আবার কিছু জায়গায় বিজয়কে দ্বিতীয় বা তৃতীয় উচ্চতম শৃঙ্গ বলে উল্লেখ করা রয়েছে। মোট কথা হল, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হিসেবে তিনটি জলজ্যান্ত নাম উঠে এল- সাকা হাফং, কেওক্রাডং এবং তানজিনডং বা বিজয়। তাহলে আসল কোনটি? যদি কোনো পরীক্ষায় এই প্রশ্নটি আসে, কী হবে তার উত্তর?
অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে বলছি, এর উত্তর কী হবে তা আমারও জানা নেই। প্রশ্নকর্তা যদি বই দেখে প্রশ্ন করেন তাহলে উত্তর হবে কেওক্রাডং, যদি ইন্টারনেট থেকে তথ্য সংগ্রহ করে প্রশ্ন করেন তাহলে উত্তর হবে সাকা হাফং (অথবা, বিজয়ও হতে পারে!)। তবে একটা কথা বলতে পারি, এই বিভ্রান্তি দূর হওয়া প্রয়োজন। একটি রাষ্ট্রে একটাই সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হতে পারে এবং এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের মতামতটিই চূড়ান্ত হওয়া উচিত। কোনো প্রশ্নের উত্তর সব জায়গায় একই হবে, এটাই কাম্য।